আমার কবিতাযাপন
আমার ওজনে হালকা শরীরের
থেকে ভারী, কবিতা
বয়স ত্রিশের তুলনায় অনেকখানি
নুয়ে গেছি আমি
থেকে ভারী, কবিতা
বয়স ত্রিশের তুলনায় অনেকখানি
নুয়ে গেছি আমি
আমার মুখের দিকে তাকিয়ে
মা আরো বৃদ্ধ হোন
এখানে কিছু চমকায় না
এখানে নেই কোন তরবারি
মা আরো বৃদ্ধ হোন
এখানে কিছু চমকায় না
এখানে নেই কোন তরবারি
কিছু না-বুঝার
দিনজাগার ক্লান্তি আর
রাতে একজন আততায়ী
চুষে রক্তজল
দিনজাগার ক্লান্তি আর
রাতে একজন আততায়ী
চুষে রক্তজল
সকালের আলোয় আমার মা
কবিতার রুটি পরিবেষণ করেন
হৃৎপিন্ডের কষানো মাংস দিয়ে
চোখ বন্ধ করে খাই
কবিতার রুটি পরিবেষণ করেন
হৃৎপিন্ডের কষানো মাংস দিয়ে
চোখ বন্ধ করে খাই
হাঁটছি তপ্ত আফ্রিকার বুকে
বন্দুকের চোরাকারবারি র্যাঁবোর সঙ্গে
এক ফাঁকে দেখা হলে
কেউ কারও কুশল জিজ্ঞাসা করছি না
বন্দুকের চোরাকারবারি র্যাঁবোর সঙ্গে
এক ফাঁকে দেখা হলে
কেউ কারও কুশল জিজ্ঞাসা করছি না
খুনের
ইচ্ছা
আমার খুনের ইচ্ছা
একজন, যে কোন পথচারীকে ডেকে
এনে
খুন করতে পারি দৃশ্যত
এমন
নির্জনতা আমার আছে
নিমগাছ তুখোড় অথিতিশালা, একটি সদয়
টোপও
পথচারী, দু’পা এগিয়ে ভড়কে
গেলে:
চিরহরিৎ একমুখ হাসি
হেসে, বলবো-
অন্ধকারেনাদেখারকিছুতো নাই
আসো;
দৃঢ় পায়, অই
দেখো, রাঁজহাস;
আমার পালিত স্ত্রীর
নাম...
কি ধবধবে শাদা! কি শাদা!
দেখো, সম্মুখে, সদাকার হাসি
যেন জানালাটা বাতাস চুষে
নিচ্ছে
দিনের পর
দিন
একটিই জানালা
বাঁক ঘুরে চম্পট দিতে
জানে, তারও আছে
তরিকরকারি মন
তিতা, আহ্লাদে ভরা
মিষ্টি, ময়ূরমুখ
অইতো অই
আমাদের যাওয়ার দিকের বাড়ি
গেলেই দেখতে পাবে পোশাকের
পায়চারী,
ডাক দিলেই ঝকমারি ঝরে পড়ছে
খুব হুল্লোড়, তাই! অতো দূর
থেকেও?
জানো, পথচারী
একারাই যাচ্ছেতাই ফোটে
বড় অসাধারণ!
(চিত্রঋণ : প্রদোষ পাল)
No comments:
Post a Comment