এইখানে একটা জার্নাল লিখছি। আমার
যাপন, আমার ব্যক্তিগত যাপন ও একান্ত ব্যক্তিগত
যাপন নিয়ে। প্রথমেই একটি চরিত্রের সঙ্গে পরিচয়
করাই আপনাদের। ধরি, ওনার নাম “”“”“”। উনি আপাতত আমার সবকিছু। ওনাকে
বাদ দিয়ে কিচ্ছু করা যাছে না। কিচ্ছু
ভাবা যাচ্ছে না। শুরু
২০ জুলাই
আমার খুব সমুদ্রে যেতে ইচ্ছে করছে। ২০০১। পন্ডিচেরী। ক্লাস ওয়ানে পড়তাম। ১. ক্লাস ফোর এর অনন্যাদি বলেছিল; ও প্রচুর মুক্তো পেয়েছে ঝিনুক কুড়িয়ে, আর আমার কপাল ফাঁকা। ২. সমীরদা বলেছিল সি বিচ এ লুডো খেলার নিয়ম হল, বয়সে বড়রা সাপের লেজে পড়লে মুখে ওঠে। আর ছোটরা মইয়ের মাথায় পড়লেও নীচে নামে ৩. এক ফরাসী যুবতী হেসে তাকিয়েছিল
সমুদ্রের ধারে। মনে করুন, আবার গেলাম ওখানে। গীর্জা পিং পং বলের মত বাজছে। সেই ফরাসী যুবতী নিজের হাতে আমার চুল নেড়ে হাই বলল। অনন্যাদি একটা মুক্তো খুঁজে এনে ভাগ করে নিল আমার
সাথে। আর সমীরদা লুডো সমুদ্রে ওড়ালো। আমাকেও। এসব কেন সত্যি হয় না? এসব সত্যিই। যা ঘটে, তা তো শুকনো ঘটনা। যা যা ঘটলে 'উফ' মনে হত, তাই আসল সত্যি। তাই সত্যি। সত্যির আগে আসল শব্দটার প্রয়োজন থাকে না আসলে। আজ ২০ জুলাই আমার ঘরে পন্ডিচেরী সমুদ্র আসুক। ১ লক্ষ সমীরদা হাঁটু মুড়ে বসুক সামনে
২৪ শে জুলাই
নতুন
একটা সম্পর্ক চলছে, আসলে বেশ পুরোনোই। অফিসিয়ালি
আজ থেকে শুরু হবে বললে ভাল হয়। আজ থেকে “”“”“” আমার প্রেমিক। যেটা করেছি, একে ফেসবুকে ব্লক করেছি। হোয়াটসঅ্যাপেও। আর বলেছি
শুধু ফোনে কথা হলেই ভাল। এও জানি না যে, এই সম্পর্ক
আর কতদিন রাখব। এতে
যে কদিন থাকব, কাছাকাছিই থাকব, আবার স্পেসটাও থাকবে। রাত ১০.০০ টা থেকে ১০.৩০ টা কথা বলতাম
এই কদিন। এখন
বাড়ছে। বেশি
বাড়লে জীবন থেকে ব্লক করে দেব।
“বাড়াবাড়ি”— এসব আসলে অজুহাত। আমি
আসলে খুব নিষ্ঠুর। টিকটিকিটা
টিকটিক বলল। এমা, তালে আমি সত্যি খুব নিষ্ঠুর? আমি
দুঃখ পেলাম। আমি
আসলে খুব দুঃখীও।
টিকটিকিটা আওয়াজ করল না। মানুষ ও টিকটিকি
শুধু জঘন্য ছায়াটাই দেখল আমার। শুধু ছায়াটাই......
রাত...পাশের বাড়িগুলো সব চুপচাপ। গায়ে
গায়ে লাগা বাড়িগুলো সরে সরে যাচ্ছে। যেন বিশাল ঝগড়া
হয়েছে ভাই এ ভাই এ। যেন
জঘন্য জঘন্য গালি সব মুখে ভরে মুখ ভারী করে সব হেলান দিয়ে আধশোয়া। আমাদের
বাড়িতেই শুধু ভাই গান শুনছে তার আওয়াজ। যেন বৃদ্ধা মৃত্যুর
আগে তার ছেলেদের নিজেদের ভেতরের সব ঝামেলা মিটিয়ে নিতে কাতর অনুরোধ করছে, কান্না শুকিয়ে যাচ্ছে নিস্তেজ স্বরে; আর্ধেক শোনা যাচ্ছে, আর্ধেক
শোনা যাচ্ছে না।
মনে
মনে আয়না ভাবলাম। তার
সামনে বসে প্রশ্ন করি,
- “তোর কী চাই? কী নেই?”
- “নিজেকে চাই নিজেই তো নেই আমি।”
- “আরে সেটা না। তুই এখন কী চাস
জানতে চাইছি”
- “ঘুমোতে আর এই নিজেকে খোঁজাখুঁজি বন্ধ করতে।”
- “দুবার দুরকম কথা কেন?”
- “হল না। তুই বলেছিস তুই
জানতে চাস এখন কী জানতে চাইছি। মানে, আগের কোয়েশ্চেন টা অ্যান্সার সুদ্ধ ডিলিট।”
মোবাইল
বাজছে। “কেন ফোন করে তোকে ? তুই ধরিস কেন?”
ফোনটা
কেটে যাক। বলি।
আসলে
আমি ভালবাসা চাই বলে ফোন আসে, ধরি। ভালবাসি
বলে না। ভাল
তো বাসি চোখ, থুতনি, চশমা- এসবের জন্য ফোন লাগে? সম্পর্ক
লাগে? রাতে নিয়ম মেনে কথা বলতে, আসলে কথা বলতেই বিচ্ছিরি লাগে। তবু
বলি। “”“”“” এর প্রেম বাড়বে ভেবে। ঠাকুর দেখে যেন।
আসি
২৬ শে জুলাই
আমি
আজ ভোর ৪.৩০ টায় উঠেছি ঘুম থেকে। হালকা
হালকা ঘুম। এদিকে
ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলাম রাতে। উঠেই বারান্দার
সিঁড়ি তে এসে বসলাম। “অজীব দাসতা হ্যায় ইয়ে”- এই গানটা শুনছি ভোরবেলায়। কোথাও
বাজছে না। কিন্তু
আমি শুনতে পাচ্ছি। এরপর “মুবারকে তুমহে কি তুম, কিসিকে
নুর হো গয়ে, কিসিকে ইতনে পাস হো; কি সবসে দূর হো গয়ে।” একগাদা কাঁদা। অনেক
আশা যেন উঠোনে ঝনঝন করে পড়ছে ভোরবেলায় বাসনের মত। আজ শেষ
প্র্যাকটিকাল পরীক্ষা। তথাপি নামের এক বান্ধবী চাকরি পাওয়ার বিরিয়ানি খাওয়াল এক্সাম শেষে। টোটোতে
গল্প হল। বললাম
ভ্যান ঘঘ নিজের নাক (যদিও কান কেটেছিলেন) নিজে কেটে ফেলেছিলেন প্রেমিকার জন্যে। শুনে
কল্পনাদি পার্থ রায় কে বলছে - “ঐ যে শোনো। কিছু
শেখো।” অমলেন্দু দা বলল এমা পার্থ তোর নাকের দিকে নজর। নাক
চেপে ধরার ভঙ্গিতে দুজনেই একসাথে হাসল - পার্থ রায় আর
কল্পনাদি। এমন
হয়, যে একত্রিত যুগল দেখলেই আমারো হাসি চলে
আসে ঠোঁটে। উজ্জ্বল
হাসি। যিনি
হাসতে দেখছেন তার বোগাস লাগতে পারে, কিন্তু আমার
ভীষণ ভালোচে (কালচে নীলচে লালচের মত একটি রঙ) লাগতে থাকে। যেন জগতের দুটো
পাহাড় পাশাপাশি পত পত করে উড়ছে; যাদের সুখ দুঃখের
চেয়ে কিছু কম নয়।
এরপর
অটোতে উঠে বাড়ি এলাম। আমাদের বাড়িটা এমন একটা পাহাড়, যেখান থেকে নামার চেষ্টা করছি আমরা ৩ পর্বতারোহী, কিন্তু পারছি না। আমি, ভাই আর বাবা। আর পাহাড়ের কোণে
ওঠা লাল হলুদ মিনু শাড়ি পড়া সূর্যটা হল মা - “আরেকটু
থেকে যা না’’ - বলে চেল্লাচ্ছে
রাতে
কথা হল “”“”“”- এর সাথে। ব্যাটাকে
কালকের জার্নালটা পড়ে শোনালাম। ফোনটা কেটে গেল। বুঝছিলাম
হয়ত অপমানিত। আমিও
মাঝেসাঝে অপমানিত হই। নিজে নিজেই হই রাতের বেলা। কবে
কি করেছি ভেবে নিজেই নিজের ১৪ পুরুষ উদ্ধার করি। এসব
ভাবতে ভাবতেই ফোন এল। ধরলাম । কাঁদছে। আমার
সেই নিষ্ঠুর ক্রূঢ় হাসিটা পেল। ওপাশ থেকে বলল
কিছু কথা। কিস্যু
শুনিনি, অন গড। শুধু
ভাবছিলাম, যদি এই হাসি, এই কান্না, এই রাগ, মান-অভিমান সব নকল হয়, যদি হয়। আমি
কষ্ট পাব। কষ্ট
একবারে সব আসা ভাল। রয়েসয়ে
কষ্ট পাওয়া আমার ধাতে সয় না।
- “তুই শুনছিস?”
- “বল। ঘুম পাচ্ছে”
- “তুই ঘুমা। তুই কথা বলতে
চাস না, না?”
- “আমি ভালবাসি ; সেটা যথেষ্ট
নয়? এটার বেশি কিছু হয় রে?”
- “তুই এমন ছাড়া ছাড়া কেন থাকিস রে?”
- “জানি না। ঘুম পাচ্ছে।”
- “ঘুমা”
আমি
ঘুমাতে পারছি না রাতে । একবার মনে হল “”“”“” - এর অভিশাপ। পাশ
ফিরে শুলাম। ফোন
আসছে না। ফোন
আসবে না।
২৭ শে জুলাই
ঈশ্বর মন্দিরে থাকে না সম্ভবত। প্রেমিকের
মধ্যে আমি ঈশ্বর পেয়েছি। তাই তার সাথে ঝগড়া করি। তাকে
অপমান করি। মন খারাপ
করি। আবার
পূজোও করি স্নান সেরে। আমি খুব ভালবাসি “”“”“” কে। মন্দির
ছাড়ুন। সেই
টিউশন ব্যাচে কিংবা স্কুলে চলে যান, যেখানে আপনি
আপনার প্রথম কৈশোরের প্রথম প্রেম পেয়েছিলেন। প্রেমে প্রাপ্তি
অনেক । কিন্তু
পুরষ্কার নেই। প্রেমের
অন্য কোন পুরষ্কারের
প্রয়োজন
নেই।
ফোন
ধরিনি আজ। যে অভিমানের আয়ু ২ দিন হয় না অন্তত, তা কিরকম
জিনিস?
২৮ শে জুলাই
নীল
আঙুরের মত বৃষ্টি। ব্যাঙ ডাকছে না। ভেজা ব্রাগুলোই
ব্যাঙের মত ডাকত যদি? শীতের সাদা পরিযায়ী পাখিগুলোর কথাও মনে
পড়ছিল ব্রাগুলোর দিকে তাকালে। ঘরে এসে ফোন
করলাম। ধরল
না। রাতেও
১০ মিনিট মত কথা বললাম। তাও নিশ্চুপ মুহূর্তই
বেশি।
রাণাদা
ফোন করে কবিতা লিখতে বলল। আর খ্যাপাচ্ছিল আমাকে “”“”“”- এর কথা
বলে। খ্যাপাকে
তুমি ক্ষেপাবে কীভাবে। ঐ নাম শুনলেই আমার ভেতরে একটা বড়সড় সাইক্লোন শুরু
হয়ে যায়। আমার
নিজেরই চিল্লিয়ে বলতে ইচ্ছে করে যেসব রাণাদা বলছিল।
২৯ জুলাই
এখন
অনেক রাত না। ১১ টা
বাজে। ভাই
পাশে বসে আমাকে লিখতে দেখছে। ওরো ঘুম ধরে
না হয়ত। আজ ছবি
আঁকলাম বেশ কয়েকটা। তাও
৪০ টা মত। ছবিগুলো
আসলে আমাকে আঁকে মনে হয় কোন কোনদিন। আজ মনে হচ্ছিল
না। ২ টা
রঙের সেট ফুরিয়ে গেল। আমি ফুরোলাম না। এটা
প্রিয় হল—
৩০ শে জুলাই
আজ সকাল
১০.৩০ টায় ঘুম থেকে উঠে, খেয়ে
দেয়ে, ১১ টায় গান শুনতে বসেছি। কম্পিউটারে। সম্ভবত
পাঞ্জাবী গান। “সোনিয়ে যে তেরে নাল দাগা ম্যায়...”। আমি
৪ টা ভাষা লিখতে, পড়তে বলতে জানি- বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি, সংস্কৃত। পাঞ্জাবী
ভাষাটার প্রতি একটা গাঢ় টান অনুভব করি। কিস্যু বুঝি
না। কিন্তু
কি সুন্দর মোরব্বার মত; জিভে দিলে মিষ্টি
মিষ্টি। গান
শুনতে শুনতে মনে হচ্ছিল অমৃতসর এসে গেছি। একটা না জানা
ভাষার গানের লিরিক্স; আমি নিজের ইচ্ছেমত তার মানে বের করছিলাম, বাংলায় অনুবাদ আর কী। এমন অনুবাদ যার
মাথা মুন্ডু নেই। কিন্তু
ঐ গানটা শুনলে আমার ঐ অনুবাদটাই মনে আসবে। যেমন
“সোনিয়ে যে তেরে নাল, দাগা
যে কামাভা/ নি রব করে ম্যায় মর যাওয়া/ হো- ওওওও/ নি আল্লা করে ম্যায় মর যাওয়া” এর মানে
ধরেছি- “তোর সাথে থেকে থেকে কামের দাগ পড়ল/এখন ঈশ্বরের আদেশে আমার মৃত্যু হোক/এখন
আল্লার হুকুমে আমার মৃত্যু হোক।” আর এরপরে “মুখ তেরা ভেখ কে তা চান্দ শর্মোন্দা/ রব ভি বানাকে তৈনু আপ পছতান্দা হ্যায়।”- এর কোন
মানে করছি না। সরাসরি
পাঞ্জাবীতেই শুনতে খুব মিষ্টি লাগছে। “ফুলা যেহা দিল
যে তেরা কাদি ম্যায় দুখাবা”- ফুলের মত দিল
তোর, যদি কোনদিন দুঃখ দি/তবে ঈশ্বরের আদেশে, আল্লার
হুকুমে আমার মৃত্যু হোক। গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে গেছি। গানের
মধ্যে মনে হচ্ছিল যেন আমি ঈশ্বরের বাগানে বাবার কোলে মাথা রেখে ঘুম। যে কোন
সম্পর্ক দায়িত্ব সহকারে পালন করার কথা ভাবলেই বাবার কথা মনে হয়। আর সম্পর্ক – এ রেগে যাওয়া, ছোট খাটো মান
অভিমান দিনের শেষে গলে যাওয়া দেখলে মার কথা...
দুপুরে
পুরোন এক বন্ধুর সাথে কথা হল। কাল দেখা করতে
পারি। জিজ্ঞেস
করছিল, আমি কি সিঙ্গল? কে জানতে চাইছে অরিজিনালি, তার
নাম নিল না। তবে
ইঙ্গিত প্রাক্তন প্রেমিকের দিকে পেলাম আমি। আচ্ছা আমি সিঙ্গল
থাকলে কী হত? আজ ৩০ শে জুলাই। আমার
এর আগের সম্পর্কটা এরকমই একটা দিনে শুরু হয়েছিল। হয় ৩০
শে নয় একত্রিশে। হোক
গে। অনেক
পাপ জমা হয়ে আছে জীবনে। আবার গান শুনছিলাম, “বুল্লাজিয়া
তেরে নাম কাদি যো চরা, নি রব করে ম্যায় মর যাওয়া/হে ওওওও/ নি আল্লা করে
ম্যায় মর যাওয়া।” - এইবার ইউটিউবে না। কোত্থাও না। কিন্তু
আমি শুনছিলাম। খুব
মসজিদ যেতে ইচ্ছে করছিল, কিংবা মন্দির, কিংবা শ্মশ্মান, কবরখানা বা কোত্থাও
না, হাওয়ায় মিলিয়ে যেতে।
৩১ শে জুলাই
আজ সোমবার। আজ সকালে
উঠেছি নটায়। বাবা
বারবার ডাকছিল। আর আমি
স্বপ্নে কারো সাথে তর্ক করছিলাম কিছু নিয়ে; কি নিয়ে
মনে নেই। কোন
ছেলের কন্ঠস্বর শোনা যাচ্ছিল। নীচু সরে, কিন্তু যুক্তিপূর্ণ কোন কথা। ঘুম
ভেঙে গেল ।
আজ দুপুরে
পুরোন বন্ধুটার সাথে দেখা হবে না। অসুস্থ নাকি
সে। হোক
গে। আমি
বৃষ্টির মধ্যে রূপমের একটা গান(ফিরিয়ে দেওয়ার
গান ) শুনব ভেবেছিলাম অটোতে যেতে যেতে। কিন্তু
বৃষ্টি দেখতে দেখতে আর অল্প পরে পরে করতে করতেই সময় কেটে গেল। রাণাদা
ক্যালিগ্রাফি করতে বলেছিল। আমি পারিনি। যেটা
করেছি, সেটা না অক্ষরশিল্প হয়েছে না অঙ্কন শিল্প। আবার
দুটোই হয়েছেও বলা যায়। আমার মনের মত হয়েছে।
মেসেঞ্জারে
সেই বন্ধুটা জিজ্ঞেস করল - “কেমন আছিস? তোকে অনেকদিন জিজ্ঞেস করা হয় না”। আমার
হাসি পেল না। হাসলাম। ভালই
আছি বললাম। বলা
হল না আমি খুব ভাল আছি। আসলে আমার আর কোন প্রত্যাশা নেই প্রাপ্তির অধিক। সুখী
কি আমি? আমি আসলে সন্তুষ্ট। ভিতরে
বুনো মাদল বাজছে। সুখের
খোঁজে অনেক বন ঘুরে , অনেক সমুদ্রে উড়ে, অনেক পাহাড়ে সাঁতড়িয়ে শেষে একদিন আমি সন্তুষ্টি পেয়েছি। বঙ্গোপসাগর
উঠে এসেছে উঠোনে মনে হয় মাঝে মধ্যে আর আমি সমাধিস্থ, অপ্রকৃতিস্থ
তাকিয়ে আছি ; ওপার দেখতে চাইছি না, ওপার দেখতে পারছি না। আমার শুধু মনে
হচ্ছে আমি দু’পারেই যেন আছি। যেখানে
যেখানে থাকার ইচ্ছে, মনে মনে চলে যাচ্ছি।
- “আর কত হেলব? এবার পড়ে যাব।”
- “তোকে দুবার হ্যালো বললে তুই দু’দিকে
হেলবি বলা থাকল। ”
- আজকের কথোপকথনগুলো ট্রিমড হয়ে ঘুরছে বুকে। ভাল
লাগছে। “এ শুধু গানের দিন, এ লগন গান শোনাবার”। সমস্ত কথাই আসলে গান। সমস্ত
গানই আসলে কথা। “তুমি ছাড়া কেহ সাথি নাই আর/ সমুখে
অনন্ত জীবন বিস্তার/ কাল পারাবার করিতেছ পার/ কেহ নাহি জানে কেমনে”
যাপন থেকে উঠে আসা মুহূর্তগুলো মনে দাগ রেখে গেল।
ReplyDeleteবাহ্! আমার ব্য়ক্তিগত কোনঠাসা অনেকগুলো ভাবনার উৎসমুখ খুলে গেল । ধন্য়বাদ ।
ReplyDeleteখুব অন্যরকম গদ্য। একটু কবিতার মিলমিশ, আবার কবিতাও নয়। একটা টান থাকে, টেনে নিয়ে যায়। ভালো লাগে। ভাবায়।
ReplyDeleteবেশ ভালোলাগা ভায়োলিন বেজে উঠল মনের অন্দরে ।
ReplyDelete