অস্তিত্ব
আঙুল থেকে বখাটে মুহূর্তগুলি উঠে দাঁড়ায়।
অরন্তুদ হাওয়া খিস্তি দিতে দিতে আয়ুরেখা মুছে দেয়...
নদী থেকে জলের পালকগুলি ওড়ে।
নদী থেকে জলের পালকগুলি ওড়ে।
একলা ঘর। যে মেয়েটির মনে ঋতুজরা তার জানালায় মেঘের শার্সি এঁটে দিলাম।
বৃষ্টির পায়চারি নিয়ে মেয়েটি ঘুঙুর হবে একদিন...
বৃষ্টির পায়চারি নিয়ে মেয়েটি ঘুঙুর হবে একদিন...
ঘর থেকে ঘরের ব্যবধান –হাড় আর মাংসের। যে ছেলেটির মন ভাল নেই, তার চার কুঠুরির হৃৎপিন্ডের বদলে সার্জারি করে আকাশ
বসালাম। ছেলেটি মেয়েটির অস্তিত্বের সাথে মৈথুনরত...
ঝুপ করে ডুব দেয় শব্দহীন শব।
অন্ধকার পায়ে পায়ে দুকূল ছাপিয়ে যাচ্ছে
প্রেমিক – প্রেমিকার ডুবোনদী...
অন্ধকার পায়ে পায়ে দুকূল ছাপিয়ে যাচ্ছে
প্রেমিক – প্রেমিকার ডুবোনদী...
জল ও বৃত্তের কবিতা
একটি গাছের বুকে হরিণশিশুর কান্না রেখো
কেননা মাটির ভিতরে জলসত্র নেই
কারোর জন্য কেউ বাড়ায়নি দুঅণু হাত
সহজেই যা হতে পারে একগোছা অক্সিজেন।
কেননা মাটির ভিতরে জলসত্র নেই
কারোর জন্য কেউ বাড়ায়নি দুঅণু হাত
সহজেই যা হতে পারে একগোছা অক্সিজেন।
একটি নদীর জন্য মাঝি থাকুক
যে নদীর উপর হাঁটতে জানে
মাঝির বুকপকেটে বাঁশি...
বাঁশিতে ফুঁ দেওয়া মাত্র
পাখিগুলো গান হয়ে
মজে যাওয়া জলাশয়ে
নুড়ি ফেলে রাখে।
যে নদীর উপর হাঁটতে জানে
মাঝির বুকপকেটে বাঁশি...
বাঁশিতে ফুঁ দেওয়া মাত্র
পাখিগুলো গান হয়ে
মজে যাওয়া জলাশয়ে
নুড়ি ফেলে রাখে।
নিজের জন্য জিরো ডিগ্রির বৃত্ত আঁকো
দেখবে: - যে কোনো উষ্ণতায় সমদূরবর্তী অবস্থানে
তুমি প্রতিমুহূর্তে স্রোত ও উজানের সাথে
মানিয়ে নিচ্ছো নৌকার মত।
দেখবে: - যে কোনো উষ্ণতায় সমদূরবর্তী অবস্থানে
তুমি প্রতিমুহূর্তে স্রোত ও উজানের সাথে
মানিয়ে নিচ্ছো নৌকার মত।
নাব্যতা
গাছে গাছে প্রজাপতি আঁকতে বসল বসন্ত। পলাশের ডানায় রোদ মাখছিল সোনাঝুরির কোকিল, হাওয়ার ভিতরে ঢুকে যাচ্ছিল মৌমাছি – তাকে টেনে নিল ক্লোরোফিলের কিশোরী – শিকড়ের দিকে...
এখন মানুষের ভরকেন্দ্রে টাল খাচ্ছে পৃথিবী। ঘূর্ণনকেন্দ্র থেকে ছিটকে যাচ্ছে
গ্রহ।কক্ষপথ ধরে যারা শিমূল কুড়োতে গিয়েছিল তারা ফেরেনি।
হরিণসমগ্র থেকে জলপান করে উঠে আসছে নদী। ঘাইহরিণীর পেটে বসন্তদাগ নিয়ে খেলে বেড়ানো শাবকটি- কোনো এক রজঃস্বলা কিশোরীর স্তন্যপান করে রেখে এসেছিল নাব্যতা...
(চিত্রঋণ : Marc Chagal)
হরিণসমগ্র কী, যদি বলতেন?
ReplyDelete